গৌরারং জমিদার বাড়ি | |
---|---|
সাধারণ তথ্যাবলী | |
ধরন | বাসস্থান |
অবস্থান | সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা |
শহর | সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা, সুনামগঞ্জ জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
উন্মুক্ত হয়েছে | ১৮০০ শতকের শুরুর দিকে |
স্বত্বাধিকারী | রাজেন্দ্র কুমার চৌধুরী ও রাকেশ রঞ্জন চৌধুরী |
কারিগরি বিবরণ | |
উপাদান | ইট, সুরকি ও রড |
গৌরারং জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। এটি বাংলাদেশের প্রাগাধুনিক পুরাকীর্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]প্রায় দুইশত বছর আগে জমিদার রাজেন্দ্র কুমার চৌধুরী ও জমিদার রাকেশ রঞ্জন চৌধুরীর হাতে এই জমিদার বাড়ির গোড়াপত্তন হয়। প্রায় ত্রিশ একর জমির ওপর তারা এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করেন। তবে তাদের সময় এখানে জমিদারি চালু হলেও মূলত জমিদার রাম গোবিন্দ চৌধুরীর সময়ে এই জমিদার বাড়িটি বিস্তৃত লাভ করে। তিনিই ছিলেন এই এলাকার প্রতাপশালী জমিদার। তার জমিদারির আমলে জমিদার বংশধর ব্যতীত অন্য কেউ এখান দিয়ে জুতা পায়ে দিয়ে হাঁটতে পারতোনা। এই জমিদার বাড়িটিতে আলাদা আলাদা ছয়টি ভবন ও রংমহল, অন্দরমহল, সিংহাসন ও জলসা ঘর রয়েছে। রংমহলের দেয়ালে নারী ও লতাপাতার ছবি আঁকা রয়েছে।
এছাড়াও মূল ভবনের ডান দিকে একটি দিঘী রয়েছে, যেটিতে জমিদার বাড়ির মহিলারা গোসল করতেন। এখানে যাতায়াতের জন্য জল বারান্দাও তৈরি করা হয়। প্রায় একশত বছর আগে এই জমিদার বাড়িটিকে ভূমিকম্পে গ্রাস করে এবং ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনীরা এই জমিদার বাড়ির ওপর ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। ভূমিকম্পের সময় জমিদারের ছোট ভাই মাটি চাপা পড়ে মারা যায়। বর্তমানে জমিদার বংশের কেউই এখানে বসবাস করেননা। দেশ ভাগের পর জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর এখানকার জমিদারিরও পতন হয়। আর এখানকার শেষ জমিদার ছিলেন নগেন্দ্র চৌধুরী। তবে এই জমিদার বংশধর এখনো এখানে আছেন। সর্বশেষ জমিদার নগেন্দ্র চৌধুরীর ছেলে নিরঞ্জন চৌধুরী এখন সুনামগঞ্জ শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস করতেছেন। নগেন্দ্র চৌধুরীর ছোট ভাই ধীরেন্দ্র চৌধুরী সুনামগঞ্জেই বসবাস করতেন। তিনি ব্রিটিশ আমলের নামকরা শিকারি ছিলেন। ১৯৭৮ সালে ধীরেন্দ্র চৌধুরী মারা যান। তাঁর পুত্র দিলীপ চৌধুরী। [১][২]
বর্তমান অবস্থা
[সম্পাদনা]বর্তমানে এই জমিদার বাড়িটি অযত্ন ও অবহেলার কারণে প্রায় ধ্বংসের মুখে। জমিদার বাড়ির দেয়ালগুলোতে শ্যাওলায় পরিপূর্ণ এবং প্রায় কয়েক জায়গা ধসে পড়েছে। পুরো জমিদার বাড়িটি এখন লতাপাতা ও জঙ্গলে জরাজীর্ণ হয়ে রয়েছে।
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "গৌরারং জমিদার বাড়ি - সুনামগঞ্জ জেলা তথ্যবাতায়ন"। ১৬ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ সুনামগঞ্জের জমিদার বাড়ি হারানো ইতিহাস খুঁজছে উড়ন্ত - দৈনিক ইত্তেফাক
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |