কেএসআই, রাঙ্গামাটি | |
গঠিত | ১৯৭৮ |
---|---|
ধরন | স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান |
সদরদপ্তর | ভেদভেদী, রাঙ্গামাটি সদর, রাঙ্গামাটি |
দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা, ইংরেজি |
উপপরিচালক | জিতেন চাকমা |
প্রধান অঙ্গ | সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায় অবস্থিত। বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, পরিচর্যা, উন্নয়ন ও চর্চা এবং লালনের লক্ষ্যে ১৯৯৩ সালে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে এ ইনস্টিটিউটটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৭৮ সালে রাঙামাটিতে উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রথমে প্রতিষ্ঠানটি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। ১৯৮১ সালে এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্থানান্তরিত হয় এবং ১৯৯৩ সালের ১ মে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদের নিকট এটি হস্তান্তর করা হয়। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা হিসেবে একটি স্বতন্ত্র উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করে ইনস্টিটিউটটিকে প্রধান কার্যালয়ে রূপান্তর করা হয়। পরবর্তীতে ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন ২০১০ পাস হয়,[২] যার অধীনে ইনস্টিটিউট একটি সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়। এরপর ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, রাঙ্গামাটি রাখা হয়।[১] বর্তমানে এটি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত দপ্তর হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।[৩] এটি বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বর্ণাঢ্য ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশ সাধন এবং এই সকল সংস্কৃতিকে দেশের জাতীয় সংস্কৃতির মূল স্রোতধারার সহিত সম্পৃক্ত করার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়।[৪]
কাঠামো
[সম্পাদনা]ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের কমপ্লেক্সে একটি দুইতলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন রয়েছে। এছাড়াও, সেখানে ত্রিতলবিশিষ্ট একটি দৃষ্টিনন্দন জাদুঘর ভবন, ত্রিতলবিশিষ্ট ট্রেনিং সেন্টার ও আর্টিস্ট হোস্টেল ভবন, এবং ২৫০ আসনবিশিষ্ট একটি অডিটরিয়াম রয়েছে। ইনস্টিটিউটের মোট ৪টি শাখা রয়েছে। শাখাগুলো হলো:
- প্রশাসন ও অর্থ শাখা
- সংস্কৃতি শাখা
- গবেষণা ও প্রকাশনা শাখা
- জাদুঘর ও লাইব্রেরী শাখা
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন-২০১০ এর ৬ এবং ৭ ধারা অনুযায়ী, সরকার কর্তৃক ইনস্টিটিউটের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাহী পরিষদ অনুমোদিত হয়েছে।
কার্যক্রম
[সম্পাদনা]প্রশিক্ষণ
[সম্পাদনা]- সাধারণ সঙ্গীত
- উপজাতীয় সঙ্গীত
- তাঁত বুনন ও পোষাক তৈরি প্রশিক্ষণ
- নৃত্য
- নাট্য
- কবিতা আবৃত্তি ও প্রমিত উচ্চারণ
- চিত্রাঙ্কন
গবেষণা, প্রকাশনা ও গ্রন্থাগার
[সম্পাদনা]- ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা শিক্ষা কোর্স
- ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর দুষ্প্রাপ্য সামগ্রী ও প্রত্নবস্তু সংগ্রহ
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "ইতিহাস, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট"। ksirangamati.portal.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-০৪।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}
: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: তারিখ স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনূদিত (লিঙ্ক) - ↑ "ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন"। bdlaws.minlaw.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-০৪।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}
: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: তারিখ স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনূদিত (লিঙ্ক) - ↑ "ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট"। knsi.rangamati.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-২০।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}
: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: তারিখ স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনূদিত (লিঙ্ক) - ↑ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। "রাঙামাটির নৃগোষ্ঠী ইনস্টিটিউট: অনটনে নিষ্প্রভ আশার বাতিঘর"। রাঙামাটির নৃগোষ্ঠী ইনস্টিটিউট: অনটনে নিষ্প্রভ আশার বাতিঘর (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-১৬।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}
: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: তারিখ স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনূদিত (লিঙ্ক)