কেওক্রাডং
কেওকাড়াডং
২০১১ সালে কেওক্রাডং
সর্বোচ্চ বিন্দু
উচ্চতা৯৮৬ মিটার (৩,২৩৫ ফুট)
সুপ্রত্যক্ষতা১১০ মিটার (৩৬০ ফুট) উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
বিচ্ছিন্নতা১৩ কিলোমিটার (৮.১ মাইল) উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
তালিকাভুক্তিবাংলাদেশের পর্বতের তালিকা
স্থানাঙ্ক২১°৫৬′৫৯″ উত্তর ৯২°৩০′৫১″ পূর্ব / ২১.৯৪৯৭২° উত্তর ৯২.৫১৪১৭° পূর্ব / 21.94972; 92.51417
ভূগোল
কেওক্রাডং বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
কেওক্রাডং
কেওক্রাডং
বাংলাদেশের মানচিত্র কেওক্রাডংয়ের অবস্থান
অবস্থানদার্জিলিং পাড়া, রেমাক্রীপ্রাংসা ইউনিয়ন
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগচট্টগ্রাম বিভাগ
জেলাবান্দরবান জেলা
উপজেলারুমা উপজেলা
পর্বতশ্রেণীপলিতাই[]/কেওক্রাডং, পার্বত্য চট্টগ্রাম
ভূতত্ত্ব
পর্বতের ধরনপর্বতশৃঙ্গ

কেওক্রাডং বা কেওকাড়াডং হলো বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা বান্দরবানে অবস্থিত একটি পর্বতশৃঙ্গ। এটি বাংলাদেশের সরকারিভাবে স্বীকৃত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। এর প্রকৃত উচ্চতা প্রায় ৯৮৬ মিটার (৩,২৩৫ ফুট) হলেও, সরকারিভাবে স্বীকৃত উচ্চতা ১,২৩০ মিটার (৪,০৪০ ফুট)। এক সময় কেওক্রাডংকে পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হিসেবে গণ্য করা হতো। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির পরে পরিচালিত জরিপে কেওক্রাডংয়ের স্থলে তাজিংডংকে সরকারিভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তবে বেসরকারি জরিপে তাজিংডংয়ের প্রকৃত উচ্চতা কেওক্রাডংয়ের চেয়ে কম বলে জানা যায়। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে কেওক্রাডংয়ের চেয়েও উঁচু পর্বতশৃঙ্গ আবিষ্কৃত হলেও, এটিকে বাংলাদেশের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গগুলোর অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে এখনও সরকারিভাবে তাজিংডং বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এবং কেওক্রাডং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হিসেবে স্বীকৃত।[][]

ভৌগলিক অবস্থান

[সম্পাদনা]

কেওক্রাডং বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে, মিয়ানমারের নিকটবর্তী বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার রেমাক্রীপ্রাংসা ইউনিয়নের থাইখং পাড়ার কাছে অবস্থিত।[]

নামকরণ

[সম্পাদনা]

কেওক্রাডং শব্দটি মারমা ভাষা থেকে এসেছে। মারমা ভাষায় কেও মানে 'পাথর', কাড়া মানে 'পাহাড়' আর এবং ডং মানে 'সবচেয়ে উঁচু'। অর্থাৎ কেওক্রাডং মানে সবচেয়ে উঁচু পাথরের পাহাড়।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

একসময় যখন একে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মনে করা হতো তখন এর উচ্চতা পরিমাপ করা হয়েছিল ১,২৩০ মিটার।[] কিন্তু অধুনা রাশিয়া কর্তৃক পরিচালিত এসআরটিএম উপাত্ত এবং জিপিএস গণনা থেকে দেখা গেছে এর উচ্চতা ১,০০০ মিটারের বেশি নয়। শৃঙ্গের শীর্ষে সেনাবাহিনী কর্তৃক উৎকীর্ণ যে ফলক দেখা যায় তাতে এর উচ্চতা লেখা হয়েছে ৩,১৭২ ফুট। জিপিএস সমীক্ষায় উচ্চতা পাওয়া গেছে ৯৭৪ মিটার (৩,১৯৬ ফুট)। এই পরিমাপটি রুশ পরিমাপের সাথে খাপ খায়। এসআরটিএম উপাত্ত এবং মানচিত্রের মাধ্যমে এই পরিমাপ করা হয়েছে। অবশ্য বর্তমানে রুশ এসআরটিএম উপাত্ত এবং ইউএসজিএস-এর মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে কিওক্রাডাং-এর প্রকৃত অবস্থান এটি নয় (উপরে উল্লেখিত ভৌগোলিক স্থানাংকে নয়)। তারা এ স্থান থেকে আরও উত্তরে কেওক্রাডাং এর অবস্থান শনাক্ত করেছেন এবং এর উচ্চতা ৮৮৩ মিটার পরিমাপ করেন।[]

পর্যটন ও যাত্রাপথ

[সম্পাদনা]

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর, সম্পাদকগণ (২০১২)। "পার্বত্য চট্টগ্রাম"বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন ৯৮৪৩২০৫৯০১ওসিএলসি 883871743ওএল 30677644M। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০২৫
  2. মণ্ডল, ইন্দ্রজিৎ (২৩ আগস্ট ২০২২)। "তাজিংডং"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২৫
  3. মল্লিক, সমির (২৭ নভেম্বর ২০১৫)। "তাজিংডংয়ের চূড়ায়"। বিডিনিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২৫
  4. কাউসার মো. সায়েম (১০ অক্টোবর ২০২২)। "বাংলাদেশে ৩০০০ ফুটের অধিক উচ্চতার ১৪ পাহাড়"ঢাকা: ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০২৫
  5. "CIA: the World Factbook"। ২৩ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০০৯
  6. http://www.viewfinderpanoramas.org/drg/tazingdong.jpg ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে - রুশ ম্যাপিংয়ের মানচিত্র।

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]