শহীদ জিয়া শিশু পার্ক বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি খাতের শিশুদের বিনোদন পার্ক যেটি ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত। অতীতে এটি ঢাকা শিশু পার্ক এবং বর্তমানে সংক্ষেপে শিশু পার্ক নামেও পরিচিত।^[১] ১৯৭৯ সালে ১৫ একর (৬.১ হেক্টর) জমিতে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বাংলাদেশের প্রথম শিশুদের বিনোদন পার্ক।^{[১][২][৩]} এটি প্রতিষ্ঠার আগে এর জায়গাটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশ ছিল।^[৪] বাংলাদেশে সরকারি মালিকানাধীন পর্যটন-প্রচার সংস্থা বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন একটি লাভজনক উদ্যোগ হিসাবে শিশু পার্ক প্রতিষ্ঠিত করে। ১৯৮৩ সাল থেকে দক্ষিণ ঢাকার একমাত্র বিনোদন পার্ক হিসাবে তৎকালীন ঢাকা সিটি করপোরেশন এবং বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রক্ষণাবেক্ষণ করছে।^[১][৩]

পার্কের ১২টি রাইডের মধ্যে রয়েছে একটি হুইল ট্রেন, একটি মেরি-গো-রাউন্ড এবং বেশ কয়েকটি চাকা-ভিত্তিক রাইড। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ১৯৯২ সালে পার্কে বিনোদনের জন্য একটি যুদ্ধবিমান দান করে।^[২] ঢাকার সব বিনোদন পার্কের মধ্যে সবচেয়ে এখানে টিকিটের দাম তুলনামূলক সস্তা, প্রবেশের জন্য ১০.০০ টাকা এবং প্রতিটি রাইডের জন্য ১০.০০ টাকা, প্রতিদিন প্রায় ৬,০০০ দর্শনার্থী পার্কটি দর্শন। ঈদ-উল-ফিতরের ছুটিতে দর্শনার্থীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ছাড়িয়ে দেয়।^[১] পার্ক থেকে সিটি কর্পোরেশন বছরে প্রায় ২০ কোটি টাকা আয় করে।^[৩] পার্কটি সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার এবং শনিবার দুপুর ২:০০ থেকে সন্ধ্যা ৭:০০ পর্যন্ত খোলা থাকে। শুক্রবার দুপুর ২:৩০ থেকে সন্ধ্যা ৭:০০ পর্যন্ত খোলা থাকে।^[২]

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে রাইডগুলির অবস্থার অবনতি হয়েছে। ২০০৭ নাগাদ সিটি কর্পোরেশন ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পার্কটিকে সংস্কার করার একটি পরিকল্পনা স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষায় ছিল।^{[১][২][৩]} পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ১৯ একর (৭.৭ হেক্টর) এলাকা সম্প্রসারণ এবং পুরানো রাইডগুলি পুনরায় স্থাপন করার পাশাপাশি ১৬টি নতুন রাইড যুক্ত করা।^[৩] বর্তমানে এটি আধুনিকায়ন ও সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ রয়েছে।^[৫]

২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, ঢাকা শিশু পার্ক এর নাম পরিবর্তন করে পূর্বের নাম শহীদ জিয়া শিশু পার্ক রাখা হয়।^[৬]

• উইকিমিডিয়া কমন্সে শহীদ জিয়া শিশু পার্ক, ঢাকা সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।