বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত
সৈকত
এই ছোট্ট সেতুটি বাঁশবাড়িয়া সৈকতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য
এই ছোট্ট সেতুটি বাঁশবাড়িয়া সৈকতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য
Country বাংলাদেশ
বিভাগচট্টগ্রাম বিভাগ
জেলাচট্টগ্রাম জেলা
মাত্রা
 • দৈর্ঘ্য৫ কিলোমিটার (৩ মাইল)

বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশ এর সীতাকুন্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া নামক স্থানে অবস্থিত।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

২০০৯ সালে কাসেম রাজা নামে স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতা এই সমুদ্র সৈকতটি উন্নয়নের চেষ্টা করেন এবং প্রচারণা চালান। এরপর থেকে সৈকতটি পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে। তবে সৈকতটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করে ২০১৭ সালে। তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী সমুদ্র সৈকতটিতে ঘুরতে এসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ছবি ভিডিও প্রকাশ করেন। আরও পর্যটক আকৃষ্ট হয়ে আসা শুরু করে।[] বর্তমানে প্রতিদিনই এখানে অনেক পর্যটক ঘুরতে আসেন।[]

ফেরি ঘাট

[সম্পাদনা]

২০২৫ সালের ২৪শে মার্চ বাঁশবাড়িয়া থেকে সন্দ্বীপ যাওয়ার জন্য চালু হয় ফেরি সার্ভিস। এজন্য সমুদ্র সৈকতের অঞ্চলে নির্মাণ করা হয় ফেরিতে ওটার জন্য অ্যাপ্রোচ সড়ক। যার দৈর্ঘ্য ৭০০ মিটার। ফেরিঘাটের পরিচালনা করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। ফেরিতে প্রতি যাত্রীর জন্য ১০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। আর গাড়িভেদে ফি বিভিন্ন রকম। এই সংযোগ সড়ক দেখতেই প্রতিদিন ভিড় করছেন প্রায় হাজারও দশর্নার্থী।[]

দুর্ঘটনা

[সম্পাদনা]

সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সৈকতটি পর্যটকদের জন্য খুব একটা নিরাপদ নয়। তাই প্রতি বছরই এখানে দুর্ঘটনা ঘটে। ২০১৮ সালের ২১ জুন দুইজন শিক্ষার্থী ঘুরতে এসে এই সৈকতে নিখোঁজ হয়ে যান। একই বছরের ৬ জুলাই নিখোঁজ হোন একই পরিবারের ৩ জন সদস্য। এই কারণে জেলা প্রসাশন এই সৈকতটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এখনও এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়নি।[]

আরো দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. চন্দ্র দাস, কৃষ্ণ (১৮ মে ২০২৫)। "ফেরিতে ওঠার সড়কটিই টানছে পর্যটক"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০২৫
  2. "বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত যেন মৃত্যুফাঁদ"। জাগো নিউজ। ৭ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০২০