হিরণ পয়েন্ট হল বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত পৃথিবীর সর্ববৃহৎ লোনা পানির বন সুন্দরবনের দক্ষিণাংশের একটি সংরক্ষিত অভয়ারণ্য। এর আরেক নাম নীলকমল। প্রমত্তা কুঙ্গা নদীর পশ্চিম তীরে, খুলনা রেঞ্জে এর অবস্থান।[] হিরণ পয়েন্ট, ইউনেস্কো ঘোষিত অন্যতম একটি বিশ্ব ঐতিহ্য।[]

নামকরণ

[সম্পাদনা]

নীলকমল নদীর আশপাশের জঙ্গলে এখনো হরিণের আধিক্য চোখে পড়ে। এদত অঞ্চলে হরিণের অবাধ বিচরণের জন্যই এ স্থানকে হিরণ পয়েন্ট নামে অভিহিত করা হয়।[এসএম শাহনূর]

জীববৈচিত্র্য

[সম্পাদনা]

হিরণ পয়েন্ট একটি অভয়ারণ্য হওয়ায় এই স্থান অনেক বাঘ, হরিণ, বানর, পাখি এবং সরিসৃপের নিরাপদ আবসস্থল।[] সুন্দরবন এলাকায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখার অন্যতম একটি স্থান হলো এই হিরণ পয়েন্ট। এখানে দেখা পাওয়া যায় চিত্রা হরিণ, বন্য শুকরের; পাখিদের মধ্যে আছে সাদা বুক মাছরাঙা, হলুদ বুক মাছরাঙা, কালোমাথা মাছরাঙা, লার্জ এগ্রেট, কাঁদা খোঁচা, ধ্যানী বক প্রভৃতি। এছাড়া আছে প্রচুর কাঁকড়ার আবাস। আর আছে রঙ-বেরঙের প্রজাপতি[]

অন্যান্য

[সম্পাদনা]

হিরণ পয়েন্ট থেকে কিলোমিটার দূরে কেওড়াসুঠিতে রয়েছে একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, যা থেকে আশপাশের প্রকৃতি দেখার ব্যবস্থা রয়েছে।[] সেখানে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিচালিত তিনটি ভালো রেস্টহাউজ আছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতিসাপেক্ষে তাতে থাকা যায়।[]

উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী

[সম্পাদনা]

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ, ১৯৯৫

[সম্পাদনা]
সূর্যগ্রহণের গতিপথ

১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ অক্টোর তারিখে বাংলাদেশের হিরণ পয়েন্ট থেকে ১৯শ শতাব্দের সর্বশেষ পুর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিলো।[] সূর্যগ্রহণটি ২মিনিট ১০সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিলো।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. শতদল সেন যিশু (২৭ সেপ্টেম্বর ২০১০)। "দারুণ ১০ সুন্দর: হিরণ পয়েন্ট"। A টু Z, দৈনিক কালের কণ্ঠ (প্রিন্ট)। ঢাকা। পৃষ্ঠা ৯। 
  2. মুস্তাফিজ মামুন (২৬ জানুয়ারি ২০০৮)। "সুন্দরবনে, সিডরের পরে"বিডিনিউজ24.কম। ঢাকা। ২ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল (ওয়েব) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৯, ২০১০ 
  3. "সুন্দরবন:হিরণ পয়েন্ট, কচিখালী ও মান্দারবাড়ীয়া"[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], Ruralinfobd.com; অক্টোবর ৯, ২০১০ তারিখে পরিদৃষ্ট।
  4. [অজানা] (২১ জুলাই ২০০৯)। "শতাব্দির শেষ পুর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ কাল" (ওয়েব)দৈনিক মাথাভাঙ্গা। চুয়াডাঙ্গা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৯, ২০১০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]