বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকো-পার্ক, সীতাকুণ্ড | |
---|---|
সীতাকুণ্ড ইকো-পার্ক | |
![]() প্রবেশদ্বার | |
![]() | |
ধরন | শহুরে পার্ক |
অবস্থান | মুরাদপুর, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২২°৩৬′০৬″ উত্তর ৯১°৪০′১৭″ পূর্ব / ২২.৬০১৬৩১৫° উত্তর ৯১.৬৭১৫১৬১° পূর্ব |
আয়তন | ৯৯৬ একর (৪০৩ হেক্টর) |
প্রতিষ্ঠিত | ২০০১ |
খোলা | ১০:০০-২০:০০ |
অবস্থা | সারা বছর খোলা |
পরিবহণ সংযুক্ত | মুরাদপুর বাস স্টপ |
বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকো-পার্ক, সীতাকুণ্ড বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত একটি ইকোপার্ক।[১][২] চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পাদদেশে ১৯৯৮ সালে এই বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ৮০৮.০০ হেক্টর জমি নিয়ে এই বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যটি গঠিত।[৩] ১৯৯৬ একরের পার্কটি দুই অংশে বিভক্ত। ১,০০০ একর জায়গায় বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ৯৯৬ একরজায়গা জুড়ে ইকোপার্ক এলাকা। জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য এবং পর্যটকদের বিনোদনের জন্য বন বিভাগের প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠা পার্কটিতে রয়েছে বিরল প্রজাতির গাছপালা, হাজারো রকমের নজরকাড়া ফুলের গাছ, কৃত্রিম লেক ও নানা প্রজাতির জীববৈচিত্র্য। রয়েছে সুপ্তধারা ও সহস্রধারা ঝর্ণা সহ ঝিরিপথের ছোট-বড় বেশ কয়েকটি ঝর্ণা, পিকনিক স্পট, বিশ্রামের ছাউনি।
বিবরণ
[সম্পাদনা]ঐতিহাসিক চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পাদদেশে বাংলাদেশের প্রথম এবং এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম এ ইকোপার্ক ও বোটানিক্যাল গার্ডেনটির অবস্থান।
মূল ফটক পেরিয়ে একটু এগোলেই রয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিস্তম্ভ। কবি এসেছিলেন পাহাড়ের এ জনপদে। এরই বিস্তারিত লেখা আছে স্তম্ভটির পাশে সাঁটানো সাইনবোর্ডে। এর কিছুদূর এগোলে মানচিত্রে পার্কটির দর্শনীয় স্থান নির্দেশিত রয়েছে।
সেখানে নির্দেশিত পথ ধরে দেড় কিলোমিটার এগোলে সুপ্তধারা ঝর্ণার সাইনবোর্ড ‘সুপ্তধারা ঘুমিয়ে পড়ি জেগে উঠি বরষায়’। এরপর প্রায় এক কিলোমিটার পাহাড়ি ট্রেইল পেরিয়ে দেখা পাওয়া যায় ‘সুপ্তধারা’ ঝর্ণার। আবার এক কিলোমিটার পর্যন্ত গেলে চোখে পড়বে সহস্রধারা ঝর্ণার সাইনবোর্ড। এই এক কিলোমিটার পথে রয়েছে পিকনিক স্পট, ওয়াচ টাওয়ার, হিম চত্বর। সেখান থেকে দূরের সমুদ্রের রূপ চোখে পড়বে। সহস্রধারা ঝর্ণা দেখে এসে বোটানিকাল গার্ডেনের উত্তরে গেলে চোখে পড়বে পাহাড় আর পাহাড়। সহস্র ধারা ও সুপ্তধারা ঝর্ণা থেকে বহমান জলকে কৃত্রিম বাঁধ তৈরির মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে কৃত্রিম হ্রদ।
এ পার্কটির মূল আকর্ষণ চন্দ্রনাথ মন্দির। টিকেট কাউন্টার থেকে মন্দির পর্যন্ত ৫ কিলোমিটারের পথ পায়ে হেঁটে অথবা গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া যায়। মন্দিরের নিচে থেকে পাহাড়ি পথে খাড়া সিঁড়ি বেয়ে উঠলে দেখা মিলবে মন্দিরের। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পূজায় মগ্ন থাকেন এখানে। ফাল্গুনে শিবসংক্রান্তি পূজার সময় দেশ বিদেশের বৈষ্ণব-বৈষ্ণবীদের কীর্তনে মুখর হয়ে ওঠে পুরো চন্দ্রনাথ ।
উদ্ভিদবৈচিত্র্য
[সম্পাদনা]এখানে চোখ পড়বে পাহাড়ে জন্মানো নানা প্রজাতির ফুল। এখানে রয়েছে দুর্লভ কালো গোলাপসহ প্রায় ৩৫ প্রকার গোলাপ, জবা, নাইট কুইন, পদ্ম, স্থলপদ্ম, নাগবল্লী, রঙ্গন, রাধাচূঁড়া, কামিনী, কাঠ মালতী, অলকানন্দা, বাগানবিলাস, হাসনাহেনা, গন্ধরাজ, ফনিকা মিলে রয়েছে ১৫০ জাতের ফুল।[৪][৫]
জীববৈচিত্র্য
[সম্পাদনা]এখানে পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে দেখতে পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আর বন্যপ্রাণীর। পার্কটিতে রয়েছে মায়া হরিণ, বানর, হনুমান, শূকর, সজারু, মেছোবাঘ, ভালুক, বনরুই ও বনমোরগ। এছাড়াও আছে দাঁড়াশ, গোখরা, কালন্তি, লাউডগাসহ নানা প্রজাতির সাপ ও জলজ প্রাণী।[৬]
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]- চন্দ্রনাথ পাহাড় হতে প্রাকৃতিক দৃশ্য
- সুপ্তধারা ঝর্ণা
- সহস্রধারা ঝর্ণা
- ঝর্ণা
- পদ্মপুকুর
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৮-১৯" (পিডিএফ)। বন অধিদপ্তর। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ "বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৭-১৮" (পিডিএফ)। বন অধিদপ্তর। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ "Protected Areas of Bangladesh"। বাংলাদেশ বন বিভাগ। ১৭ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "সৌন্দর্যের লীলাভূমি সীতাকুণ্ড বোটানিক্যাল গার্ডেন"। দ্য বেঙ্গলি টাইমস। ৩১ মে ২০১৫। ২৫ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "অপরূপা সীতাকুণ্ড"। দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ। ১৬ জুলাই ২০১৬। ২৩ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "ছুটির দিনে সবুজ পাহাড়ঘেরা সীতাকুণ্ডে"। BanglaNews24.com। ২৫ আগস্ট ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]